মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক মাহাবুবুর রহমান আর নেই (ইন্নালিল্লাহি…রাজিউন)।
শনিবার (০৩ নভেম্বর) সকালে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।বিষয়টি জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আফরাজুর রহমান।
এদিকে মাউশি ডিজির মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
এক শোকবার্তায় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, মরহুম মাহাবুবুর রহমান একজন নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষক ছিলেন। তার অভাব সহজে পূরণ হওয়ার নয়। তার মৃত্যুতে শিক্ষা পরিবারের সবাই গভীরভাবে শোকাহত।
শিক্ষামন্ত্রী মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
এর আগে গত ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে তিনি ফুসফুসে গুরুতর অসুস্থতা নিয়ে মাউন্ট এলিজাবেথে চিকিৎসাধীন ছিলেন মাহবুবুর রহমান। তার চিকিৎসার জন্য প্রতিদিন প্রয়োজন ছিল ১৭ থেকে ২০ লাখ টাকা। পরিবার থেকে না পেরে একপর্যায়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ জোগাতে মাহবুবুর রহমানের স্ত্রী আলেয়া ফেরদৌসি অধিদফতরের অধীন সরকারি-বেসরকারি স্কুল ও কলেজগুলোকে এগিয়ে আসার জন্য মানবিক আবেদন জানিয়েছিলেন।
মাহবুবুর রহমানের স্ত্রী জানিয়েছিলেন, তার স্বামীর ফুসফুসের কার্যক্রম সচল রাখতে ইসিএমও সাপোর্টসহ লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। আইসিইউতে ইসিএমও সাপোর্টসহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি ও ওষুধপত্রের জন্য প্রতিদিন বাংলাদেশি টাকায় ১৭ থেকে ২০ লাখ টাকা প্রয়োজন হতো।
গত ৭ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাহবুবুর রহমানের চিকিৎসার জন্য ৫০ লাখ টাকা দিয়েছেন। এছাড়া শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং অধীন দফতর থেকে সহযোগিতা পেয়েছিলেন মাহবুবুর রহমান।
অধ্যাপক মাহবুব তার কর্মজীবনে ছিলেন ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ। পরে তিনি ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান হন। এবছরের জানুয়ারিতে তিনি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের ডিজি’র দায়িত্ব পান।
উচ্চ মাধ্যমিকে অনলাইনে ভর্তি পদ্ধতি কঠোরভাবে বাস্তবায়ন ও ভর্তিতে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা, পাবলিক পরীক্ষা পদ্ধতির সংস্কার, উত্তরপত্র মূল্যায়নে নতুন পদ্ধতি প্রবর্তন, ঢাকা বোর্ডে দুর্নীতিবিরোধী অভিযান পরিচালনায় অধ্যাপক মাহবুবুর রহমানের সুনাম আছে।