বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় প্রয়াত চট্টলবীর এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী মেজবানের আয়োজন করা হয়। মেজবানে ৪০ হাজার মানুষের জন্য ৩৫টি গরু ও ৩ হাজার মুরগি দেওয়া হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ মাঠ এবং বালাগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এ ঐতিহ্যবাহী মেজবানের আয়োজন করা হয়।
মেজবান আয়োজনের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রয়াত চট্টলবীর এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ছেলে ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ তরুণ প্রজন্মের কাছে ছড়িয়ে দিতে আমার প্রয়াত পিতা (এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী) চট্টগ্রাম থেকে টুঙ্গিপাড়ায় এসে মাজার জেয়ারত ও মেজবানের আয়োজন করতেন। বিষয়টি আমার দল ও আদর্শের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। যেটি প্রমাণিত। মূলত টুঙ্গিপাড়া হচ্ছে আবেগের জায়গা। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করেই এসব আয়োজন।’
এর আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাজারে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল নেতৃত্বে পুষ্পস্তবক দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন নগর আওয়ামী লীগ, নগর যুবলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগসহ অঙ্গসংগঠনের নেতারা।
এসময় নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এম রেজাউল করিম চৌধুরী, নগর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসিনা মহিউদ্দিন, নগর যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক ফরিদ মাহমুদ, মাহবুবুল হক সুমন, হাসান মনসুর, শেখ নাছির, নগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর, ছাত্রলীগের হাবিবুর রহমান তারেক, ইলিয়াছ উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সাবেক সিটিমেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর কনিষ্ঠপুত্র বোরহানুল হাসান চৌধুরী সালেহীন মেজবান আয়োজনের তত্ত্বাবধান করেন।মহিউদ্দিন চৌধুরীর একান্ত সচিব মুহাম্মদ ওসমান গণি সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেন।।