জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দর্শন ছিল জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন। তার এই দর্শন থেকে তরুণ প্রজন্মকে শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ক্ষুধা, দারিদ্র ও বৈষম্যমুক্ত রাষ্ট্র বিনির্মাণে আজন্ম লড়াই-সংগ্রাম করে গেছেন। তিনি ছিলেন আপোষহীন, অন্যায়ের কাছে তিনি কখনো মাথা নত করেন নি।
মঙ্গলবার (২৮আগস্ট)সংসদ ভবনে জাতীয় সংসদ সচিবালয় আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধানঅতিথির বক্তৃতা করছিলেন স্পিকার। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া এবং চীফ হুইপ আসম ফিরোজ। এসময় আরও বক্তৃতা করেন জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম ও মো. শাহাবুদ্দীন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের শুরুতে ১৫ আগস্টে শাহাদতবরণকারী সব শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
স্পিকার বলেন, বাঙালির অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য শৈশব থেকেই টুঙ্গিপাড়ার খোকা ছিলেন অকুতোভয় ও মানবপ্রেমী। সংগ্রামী জীবনে জেল-জুলুম এবং অত্যাচার সহ্য করে তিনি বাঙ্গালির অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন। শেখ মুজিব বঙ্গবন্ধু হওয়ার নেপথ্যের মূল কারিগর ছিলেন বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর এক অঙ্গুলির হেলনে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে বাংলার আপামর জনতা রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ৩০লাখ শহীদ ও ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে বাঙ্গালি জাতি ছিনিয়ে এনেছিল স্বাধীনতার লাল পতাকা।
স্পিকার বলেন, বঙ্গবন্ধু তার মাত্র সাড়ে তিন বছরের শাসনামলে বাংলাদেশের সব উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলেন কিন্তু ঘাতকরা তা বাস্তবায়ন করতে দেয় নি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকরা জাতির পিতাকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে। শুধু হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি-ইনডেমনিটির মতো কালো আইন করে ঘাতকদের রক্ষা করার চেষ্টা করা হয়েছে। পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঘাতকদের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হয়েছে।
এসময় তিনি মহান নেতা বঙ্গবন্ধুর জীবন আদর্শকে জানার ও ধারন করার জন্য সব কর্মকর্তা কর্মচারীদের প্রতি আহ্বান জানান।