ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কক্সবাজারগামী ইউএস বাংলার একটি ফ্লাইট জরুরি অবতরণ করেছে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। অল্পের জন্য রক্ষা পান পাইলট, ক্রুসহ যাত্রীরা। বিমানটি জরুরি অবতরণের কারণে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর আবার সচল হয়েছে।
বুধবার (২৬সেপ্টেম্বর) দুপুরে ওই বিমানটি জরুরি অবতরণের ফলে তিনটি ফ্লাইট বাতিল হলেও সন্ধ্যা ৬টার পর পুনরায় বিমান উঠানামা শুরু হয় বলে নিশ্চিত করেছেন বিমান বন্দরের সিনিয়র এয়ার ট্রাফিক অফিসার হাসান জহির।
এদিকে দুর্ঘটনা তদন্তে চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ। এয়ারক্রাফট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন গ্রুপ অব বাংলাদেশের প্রধান ক্যাপ্টেন সালাহউদ্দিন এম রহমতুল্লাহ এ কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দুর্ঘটনা কবলিত ইউএস-বাংলার বিমানটি এরই মধ্যে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
এর আগে দুপুর ১টা ২০ মিনিটে ঢাকা থেকে ১৬৪ জন যাত্রী এবং ৭ জন ক্রু নিয়ে রওনা হওয়া ইউএস-বাংলার ফ্লাইট বিএস ১৪১ কক্সবাজারে নামতে না পেরে চট্টগ্রামে জরুরি অবতরণ করে। এ সময় বিমানে হালকা স্ফুলিঙ্গও দেখা যায়। দমকল বাহিনী তাৎক্ষণিকভাবে পানি ছিটিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন।
তবে বিমানটি সরিয়ে নিতে কিছুটা বিলম্ব হওয়ায় বাতিল করতে হয়ে তিনটি ফ্লাইট। কলকাতা থেকে আসা ইউএস-বাংলা ও রিজেন্ট এয়ারওয়েজের দুটি ফ্লাইট চট্টগ্রাম নামতে না পেরে ঢাকায় অবতরণ করে। আর ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম আসা নভোএয়ারের ফ্লাইটটিও বাতিল করা হয়।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক মো. জসীম উদ্দীন বাংলানিউজকে জানান, বেলা ১টা ১০ মিনিটের দিকে বিমান জরুরি অবতরণ করবে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ইপিজেড, বন্দর ও আগ্রাবাদ ইউনিটের ৬টি গাড়ি শাহ আমানত বিমানবন্দরে পাঠানো হয়।
ইউএস বাংলার ওই ফ্লাইটের যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী। তিনি বাংলানিউজকে জানান, যাত্রীরা সবাই সুস্থ আছেন। কয়েকজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, ইউএস বাংলা কর্তৃপক্ষ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বুধবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় ঢাকা থেকে কক্সবাজারগামী ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিএস-১৪১ ফ্লাইটটি কক্সবাজার এয়ারপোর্টে পৌঁছানোর পূর্বমূহূর্তে পাইলট টেকনিক্যাল কারণে জরুরি অবতরণের প্রয়োজন অনুভব করেন। কিন্তু কক্সবাজার এয়ারপোর্টে পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা না থাকার কারণে চট্টগ্রামের হজরত শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সিদ্ধান্ত নেন। পরবর্তীতে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলার ফ্লাইটটি অবতরণ করে। ফ্লাইটের সব যাত্রী, কেবিন ক্রু ও পাইলট নিরাপদে এয়ারক্রাফট থেকে বেরিয়ে এসেছেন। যাত্রী ও ক্রুসহ বিমানেরও কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।