২৪শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ || ৭ই জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

আওয়ামী লীগ ও অংগ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রচারণায় নেমেছেন ।বিভিন্ন কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে তারা নৌকার প্রার্থীর জন্য ভোট চাইছেন। সংসদীয় আসনগুলোতে প্রচারণায় নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ  প্রায় সব নেতা যোগ দিচ্ছেন নিয়মিত।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগ নেতাদের ঐক্যবদ্ধ থেকে নৌকার প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত করার আহ্বান জানান। পাশাপাশি দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান না নেয়ার ব্যাপারেও সতর্ক করেন। যারা প্রার্থীর বিরুদ্ধে পর্দার আড়ালে থেকে কাজ করবেন, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান প্রধানমন্ত্রী।নির্বাচনী প্রচারণায় ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগএর প্রেক্ষিতে নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন ও আলতাফ হোসেন চৌধুরীসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা প্রার্থীদের পক্ষে নিয়মিত গণসংযোগে অংশ নিচ্ছেন।

পিছিয়ে নেই চট্টগ্রাম উত্তর ও দক্ষিণ জেলার নেতারাও

উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আলম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক এম এ সালাম এবং দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান নেতা-কর্মীদের নিয়ে নৌকার প্রার্থীর জন্য প্রচারণা চালাচ্ছেন।

নির্বাচন সামনে রেখে নগরের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে কয়েক দফায় বৈঠক করছেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। চউক চেয়ারম্যান আবদুচ ছালামের সঙ্গেও বৈঠক হয়েছে তার।

সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ছেলে চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালি) আসনের প্রার্থী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এর পক্ষে নিয়মিত প্রচারণা চালাচ্ছেন মেয়র নাছির। ছুটে গেছেন ফেনী-২ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নিজাম উদ্দিন হাজারীর নির্বাচনী প্রচারণায়ও।

চট্টগ্রাম-৯ আসনের নতুন মুখ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ছেলে ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। পিতার জনপ্রিয়তার প্রমাণ তিনি পাচ্ছেন নির্বাচনী গণসংযোগে।

বিভেদ ভুলে মহিউদ্দিনপুত্রের সাথে এ প্রচারণায় যুক্ত হয়েছেন আওয়ামী লীগের সব নেতা-কর্মীরা-যার প্রভাব পড়েছে অন্যান্য প্রার্থীর ক্ষেত্রে।

নির্বাচনী প্রচারণায় ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগএছাড়া এক মঞ্চে এসে নৌকার প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন সাবেক মেয়র এম মনজুর আলম। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন মনজুর আলম। ভাতিজা দিদারুল আলমের পক্ষে প্রচারণায় নেমেছেন তিনি। চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনে নৌকার প্রার্থী পক্ষে গত ১৩ ডিসেম্বর থেকে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করেন মনজুর আলম।

একই মঞ্চে মেয়র নাছির, দিদারুল আলম ও মনজুর আলমকে দেখা গেছে এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ১ম মৃত্যুবার্ষিকীর স্মরণসভায়। একে অন্যের হাত ধরে তারা নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী করার আহ্বান জানান ভোটারদের।

আ জ ম নাছির উদ্দীন  বলেন, ‘একাদশ সংসদ নির্বাচন আমাদের জন্য  চ্যালেঞ্জের। নগরের ৬টি আসনে নৌকা প্রতীকে নির্বাচনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যাদের মনোনয়ন দিয়েছেন, তাদের বিজয়ী করতে হবে। নগরের ৪১টি ওয়ার্ডের সব নেতা-কর্মী মতানৈক্য ভুলে একযোগে আওয়ামী লীগের পক্ষে কাজ করতে মাঠে নেমেছে।’

সাবেক মেয়র এম মনজুর আলম বলেন, দিদারুল আলম গত ৫ বছরে নির্বাচনী এলাকায় প্রায় ৫শ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ করেছে। রাস্তা-ঘাট সংস্কার করা হয়েছে। নির্মিত হয়েছে মসজিদ, মন্দির, স্কুলসহ নানা প্রতিষ্ঠান। তার পক্ষে আমি প্রচারণায় নেমেছি, ৩০ ডিসেম্বর সকলকে নৌকার পক্ষে ভোট দেয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।

চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ সালাম বলেন, মহাজোট বা দলের পক্ষে যারা মনোনয়ন পেয়েছেন তাদের জন্য কাজ করতে তৃণমূল নেতাদের বলা হয়েছে। সব বিভেদ ভুলে সবাই নৌকার জন্য প্রচারণা চালাচ্ছে।

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বলেন, দলে কোনো বিরোধ নেই। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে দলীয় কর্মসূচি পালন করছি। সাংগঠনিক কর্মসূচিগুলোতে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরছি।