আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপিসহ সব দলের অংশগ্রহণের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘দেশের সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নিলে একটি গণতান্ত্রিক পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ গণতন্ত্র উদ্ধার করতে গিয়ে আমাদের অনেক নেতাকর্মী জীবন দিয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘আমরা সকলে মিলে নির্বাচন করব। জনগণ যাকে চাইবে তাকে ভোট দেবে- সেটাই আমরা করব। সবাই যেহেতু নির্বাচন করবে সেজন্য সবাইকে ধন্যবাদ ও স্বাগত জানাচ্ছি।’
রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যালয়ে রবিবার (১১নভেম্বর) বিকেলে দলের সংসদীয় বোর্ডের সভার শুরুতে দেয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা। নির্বাচনে ৩০০ আসনে আওয়ামী লীগের উপযুক্ত মনোনয়ন প্রত্যাশীকেই প্রার্থিতা দেয়া হবে বলে জানান দলীয় সভাপতি।
শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগের সংদসীয় বোর্ডের সদস্যদের মধ্যে ওবায়দুল কাদের, আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, শেখ ফজলুল করিম সেলিম ও রশিদুল আলম বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
অসুস্থতার জন্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ও ড. আলাউদ্দীন সভায় উপস্থিত হতে পারেননি। এছাড়া কাজী জাফরুল্লাহ বিদেশে রয়েছেন।
নির্বাচন বিষয়ে বছর কয়েক ধরে ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে অন্য পক্ষগুলোর দূরত্ব সৃষ্টি হয়। এ প্রেক্ষাপটে সম্প্রতি ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে বিএনপি-গণফোরামসহ কয়েকটি দলের সমন্বয়ে গঠিত হয় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।
বিগত ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে বিএনপি অংশ না নিলেও ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে সম্প্রতি একাধিকবার সংলাপ-আলোচনার পর শোনা যায়, ঐক্যফ্রন্ট ভোটে যাচ্ছে। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে ঐক্যফ্রন্ট সরকারকে সাত দফা দাবি দিলেও সে সবের কয়েকটি নাকচ করে দেয় সরকার। এ দর কষাকষি শেষেই রবিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনে যাওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয় ঐক্যফ্রন্ট।
অপরদিকে ভোটে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত জানায় বিএনপির নেতৃত্বে থাকা আরেক জোট ২০ দলও।
নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ২৩ ডিসেম্বর রবিবার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। এ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ১৯ নভেম্বর সোমবার। মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের দিন ২২ নভেম্বর বৃহস্পতিবার। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৯ নভেম্বর বৃহস্পতিবার। আর প্রতীক বরাদ্দ ৩০ নভেম্বর শুক্রবার।