ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়ে তুলতে ঈদুল আজহার ত্যাগের মহিমা থেকে শিক্ষা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
বুধবার (২২ আগস্ট) সকালে বঙ্গভবনের দরবার হলে ঈদ উপলক্ষে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এ আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘কোরবানি আত্মত্যাগের পাশাপাশি মানুষকে ধৈর্য ধারণের শিক্ষা দেয়। আমাদের ঈদুল আজহা থেকে শিক্ষা নিতে হবে। এ শিক্ষা সবার মাঝে পারস্পারিক শ্রদ্ধাবোধ ও সহনশীলতা নিশ্চিতের মাধ্যমে একটি সাম্যভিত্তিক সুখী, প্রগতি ও শান্তিপূর্ণ সমাজব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।’
‘ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়ে তুলতে ঈদুল আজহার ত্যাগের মহিমা থেকে শিক্ষা নিতে হবে।’
এ সময় জ্যেষ্ঠ রাজনীতিবিদ, উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা, বিদেশি কূটনীতিক, ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব, শিক্ষাবিদ, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও ব্যবসায়িক প্রতিনিধিসহ সর্বস্তরের শ্রেণি-পেশার মানুষকে অভ্যর্থনা জানান রাষ্ট্রপতি।
হযরত ইবরাহীম (আ.)-এর আত্মত্যাগকে মহান আল্লাহর প্রতি গভীর আস্থা, বিশ্বস্ততা ও আত্মসমর্পণের সর্বোচ্চ নিদর্শন উল্লেখ করে আবদুল হামিদ বলেন, ঈদুল আজহা সবাইকে আত্মত্যাগের শিক্ষা দেয়। আত্মত্যাগের এই মহান শিক্ষাকে লালন করে সমাজে শান্তি ও কল্যাণ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সবাইকে ধৈর্য্যরে সঙ্গে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করতে হবে।
কোরবানির আত্মত্যাগের মহিমা ব্যক্তি, সমাজ ও রাজনৈতিক জীবনে প্রভাব ফেলবে বলে আশা করেন তিনি।
অভ্যর্থনায় প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচএম মাহমুদ আলী, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচটি ইমাম, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. কামাল হোসেন, সুপ্রিম কোর্টের বিচারকমণ্ডলী, তিনবাহিনীর প্রধান, পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি), সংসদ-সদস্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানরা অংশ নেন।