বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানকে লন্ডন থেকে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া চলছে বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক। আইনমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাজ্য সরকার আগ্রহ দেখানোর কারণেই বাংলাদেশ আলোচনা চালিয়েছে যাচ্ছে। আলোচনা অনেকদূর এগিয়ে গেছে, তবে তারেককে দেশে ফেরানোর পর আলোচনাকে সফল বলা যাবে। রবিবার রাজধানীতে একটি অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন আইনমন্ত্রী। বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সিনিয়র সহকারী জজ এবং সমপর্যায়ের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের ১৪১তম প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে যে আলোচনার কথা বলেছেন, সেটা কোন পর্যায়ে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, একজন দন্ডপ্রাপ্ত আসামিকে ফিরিয়ে আনার জন্য যে আলোচনা, যাদের সঙ্গে আলোচনার প্রয়োজন সেই আলোচনা চলছে। আলোচনায় পজিটিভ দিক দেখছি বলেই চালিয়ে যাচ্ছি। মন্ত্রী বলেন, তবে ফিরিয়ে না আনা পর্যন্ত এটা ফলপ্রসূ হচ্ছে কি না, সেটা কিন্তু আমি বলব না। যুক্তরাজ্য সরকারের সঙ্গে বন্দিবিনিময় চুক্তি না থাকার পরেও তারেক রহমানকে দেশে ফেরানো সমস্যা নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি। আনিসুল হক বলেন, আরেকটি আইন আছে,সেটা হলো মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাক্ট। এআইনে কিছু অপরাধীর বন্দিবিনিময় চুক্তি না থাকা সত্ত্বেও আমরা কিন্তু ফিরিয়ে আনতে পারি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন,একটি আন্তর্জাতিক মানের ন্যাশনাল জুডিসিয়াল একাডেমি প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করা হচ্ছে। যেখানে উচ্চ আদালত ও অধস্তন আদালতের বিচারকদের প্রশিক্ষণের সব রকম ব্যবস্থা থাকবে। প্রথমেই এজলাজ ভাগাভাগি সমস্যা দূরীকরণে প্রত্যেক জেলায় পৃথক দশ তলা চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। এছাড়া বিদ্যমান দুই তলা জেলা জজ আদালত ভবনগুলো ঊর্ধ্বমূখী।
তিনি বলেন, একজন সাবেক প্রধান বিচারপতির (এস কে সিনহা) একগুঁয়েমির কারণে দীর্ঘ দেড় বছর নিন্ম আদালতের বিচারকদের পদোন্নতি আটকে ছিল বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তা দূর করে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এবং সমপর্যায়ের বিচারকের পদ হতে ১০৯ জন বিচারককে চলতি মাসের জেলা ও দায়রা জজ পদে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে। এখন অন্যান্য বিচারকদের পদোন্নতির বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি খোন্দকার মূসা খালেদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হকও বক্তব্য দেন।