জনসন অ্যান্ড জনসনের ট্যালকম পাউডারে যুক্তরাষ্ট্রে ক্যান্সার সৃষ্টির উপাদান পাওয়ায় ভারতেও পণ্যটি তদন্তের মুখে পড়েছে। এবার বাংলাদেশও সেই পদক্ষেপ নিয়েছে। বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় জনসন অ্যান্ড জনসনের বেবি পাউডার পরীক্ষা করবে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশন (বিএসটিআই)।
শনিবার(২২ ডিসেম্বর) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিএসটিআইয়ের পরিচালক এস এম ইসহাক আলী।
তিনি বলেন, আমরা বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। পরীক্ষার জন্য এ সপ্তাহে আমরা পণ্যের নমুনা সংগ্রহ করবো। এরপর তা পরীক্ষার জন্য দেখবো।
‘এ পরীক্ষা মনে হয় বাংলাদেশে সম্ভব হবে না। আর সেটা সম্ভব না হলে বিদেশ থেকে পরীক্ষা করিয়ে নেয়ার বন্দোবস্ত করবো।’
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বহুজাতিক এই কোম্পানির বেবি সোপ, লোশন, পাউডারসহ বিভিন্ন পণ্য বাংলাদেশে বেশ জনপ্রিয়। অনেক বাবা-মা নিরাপদ মনে করেই তাদের সন্তানদের জন্য এসব পণ্য ব্যবহার করেন।
জনসন অ্যান্ড জনসনের ট্যালকম পাউডার ব্যবহার করে ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় এক মামলার রায়ে যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত গত জুলাই মাসে ২২ জন নারীকে ৪৭০ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশ দেয়। আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে সে খবর গুরুত্বসহকারে প্রকাশও করা হয়।
এর প্রেক্ষিতে এখন বিভিন্ন দেশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
ডিম্বাশয়ের ক্যান্সারে আক্রান্ত ওই নারীরা মামলায় অভিযোগ করেন, কয়েক দশক ধরে জনসন অ্যান্ড জনসনের বেবি পাউডার ও অন্যান্য পণ্য ব্যবহার করায় তারা এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।
অভিযোগকারী ২২ নারীর মধ্যে ছয় জন ক্যান্সারে ভুগেই মারা যান।
জনসন অ্যান্ড জনসনের বিরুদ্ধে এ ধরনের আরও অন্তত নয় হাজার মামলা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন আদালতে।
গত সপ্তাহে রয়টার্সের এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৭১ থেকে ২০০০ সালের মধ্যে বেশ কয়েক দফা পরীক্ষায় ক্ষতিকারক অ্যাসবেস্টসের উপস্থিতি ধরা পড়লেও তা গোপন করে বিক্রি চালিয়ে গেছে জনসন অ্যান্ড জনসন।
রয়টার্সের ওই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ভারতের মহারাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সেখানে জনসন অ্যান্ড জনসনের কারখানা থেকে বেবি পাউডারের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে পাঠায়।
ভারতে উৎপাদিত ট্যালকম পাউডার বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপেও বিপণন করা হয়।