আসন্ন ঈদুল আযহাকে কেন্দ্র করে নগরজুড়ে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান।
মঙ্গলবার (২১ আগস্ট) দুপুরে জমিয়তুল ফালাহ জাতীয় মসজিদ ময়দানের প্রধান ঈদ জামাতের সর্বশেষ প্রস্তুতি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব তথ্য জানান।
সিএমপি কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান নগরের প্রধান ঈদ জামাতের প্যান্ডেলের ফ্যান, আলো-বাতি, নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা, প্রবেশ ও বের হওয়ার পথ, নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ সার্বিক বিষয় ঘুরে দেখেন। পাশাপাশি নির্বিঘ্নে ঈদ জামাত আয়োজনে যাবতীয় ব্যবস্থা সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন।
এসময় তিনি প্রধান ঈদ জামাতে প্রবেশ মুখে পুলিশের নেওয়া বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে মেনে নেওয়ার আহবান জানান জামাতে আগত মুসল্লিদের।
সিএমপি কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান বলেন, ‘বরাবরের মতো ঈদকে কেন্দ্র করে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ঈদের আগে পশুর হাট কেন্দ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার সুফল আমরা পেয়েছি। কয়েকস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা রেখেছিলাম যার কারণে পশুর হাট কেন্দ্রিক কোনো বড় ঘটনা ঘটেনি। ক্রেতা-বিক্রেতা সবাই আনন্দের সঙ্গে পশু ক্রয়-বিক্রয় করেছেন।
তিনি বলেন, ‘ঈদ জামাতকে কেন্দ্র করেও বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক মুসল্লিকে চেকিংয়ের মাধ্যমে ঈদ জামাতে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে। আর্চওয়ে গেট থাকবে, হ্যান্ড মেটাল থাকবে। এছাড়া ঈদ জামাত স্থলে ২০টি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে।
মো. মাহাবুবর রহমান বলেন, ‘সারাশহরে তিন হাজারের অধিক পুলিশ ফোর্স মাঠে থাকবে। ৫৪টি স্পটে থাকবে পুলিশ সদস্যরা। ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক-বীমা, বাসাবাড়িতে যাতে কোনো চুরি বা ডাকাতি না হয় সেদিকেও লক্ষ্য থাকবে আমাদের। এছাড়া নগরে বেশ কয়েকটি বিনোদন কেন্দ্র রয়েছে। সেগুলোর নিরাপত্তায়ও কাজ করবে পুলিশ।’
পশুর চামড়া ছিনতাই ও পাচার সম্পর্কে সিএমপি কমিশনার বলেন, ‘পশুর চামড়া ছিনতাই ও চামড়া পাচারের ব্যাপারে সতর্ক থাকবে পুলিশ। কোনো চামড়া যাতে সীমান্ত এলাকার দিকে যেতে না পারে সেদিকে নজরদারি করা হবে। চামড়া ছিনতাইয়ের অভিযোগ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এসময় সিএমপি কমিশনারের সঙ্গে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) মাসুদ উল হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) আমেনা বেগম, উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি-উত্তর) হাসান মোহাম্মদ শওকত আলী, উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-উত্তর) হারুনুর রশিদ হাজারী, উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) এস এম মোস্তাইন হোসাইন, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) শাহ মুহাম্মদ আবদুর রউফসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।