চট্টগ্রামের ডাক্তারপাড়া হিসেবে খ্যাত জামালখান সড়কে চিটাগং বেলভিউ লিমিটেড, ইউনিক ডায়গনস্টিক সেন্টার, অ্যাপেলো ইনফরমেশন সেন্টার ও সেনসিভ প্রাইভেট লিমিটেডে অভিযান পরিচালনা করেছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
মঙ্গলবার (২৮ আগস্ট) সকালে চেরাগী পাহাড় মোড়ের বেলভিউ লিমিটেডে প্রথম অভিযান পরিচালনা করেন জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মোরাদ আলী।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব সাইফুল্লাহিল আজম, চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মো. আজিজুর রহমান সিদ্দিকীসহ ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
ওই ভবনে ৮ম তলায় থাকা ইউনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক ম্যাজিস্ট্রেট দেখে চুপিসারে পালিয়ে যান। পরে ম্যাজিস্ট্রেট ওই প্রতিষ্ঠানের এক কর্মচারীর সঙ্গে কথা বলেন।
সৈয়দ মোরাদ আলী বলেন, অভিযান পরিচালনার সময় ইউনিক ডায়গনস্টিক সেন্টারের মালিক পালিয়ে যান। এমনকি তার মুঠোফোনে কল দিলেও বন্ধ পাওয়া যায়।
অভিযান শেষে সৈয়দ মোরাদ আলী বলেন, ওই প্রতিষ্ঠানের নাম দিয়ে আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান চালানো হচ্ছে। আপাতত ইউনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টার তালাবদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মালিক এসে কাগজপত্র দেখাতে পারলে খুলে দেওয়া হবে।
এদিকে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের পাশের সেনসিভ প্রাইভেট লিমিটেডেও অভিযান পরিচালনা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনসহ কয়েকটি অনুমোদন থাকলেও বিএমডিসির অনুমোদন দেখাতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা। তারা দাবি করেন মালিকের কাছেই বিএমডিসির অনুমোদনের কপি রয়েছে। পরে ম্যাজিস্ট্রেট মোরাদ আলী তাদের বিএমডিসির অনুমোদন দেখানোর জন্য ২৪ ঘণ্টার সময় দেন।
মোরাদ আলী বলেন, সর্বশেষ তাদের প্রতিষ্ঠানে বিদেশ থেকে ডা. অরুনোভা রয়, ডা. নেহা চৌধুরী ও ডা. আভি কুমার রায় আসেন। কিন্তু তাদের অনুমোদন ছিল কিনা সেটি দেখাতে পারেন নি। তাই ২৪ ঘণ্টার সময় দেওয়া হয়েছে তাদের।
এদিকে নগরের পাঁচলাইশ থানার শেভরন লিমিটেড ও ফরটিস হাসপাতাল পরিদর্শন করেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব সাইফুল্লাহিল আজম ও সিভিল সার্জন ডা. মো. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী।
দু’টি প্রতিষ্ঠানে কোনো অসংগতি পাননি বলে জানান সিভিল সার্জন।
তিনি বলেন, ওই দু’টি প্রতিষ্ঠান রেজিস্ট্রেশন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও বিএমডিসির অনুমোদন দেখাতে পেরেছে।