২৩শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ || ৬ই জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা বলেছেন, কোনোভাবেই তফসিল পেছানো সম্ভব না। তবে সব রাজনৈতিক দল যদি একমত হয়, তাহলে নির্বাচন পেছানো যেতে পারে। নইলে সংবিধান মেনেই নির্বাচন হবে।

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম নিয়ে প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেয়ার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে  মঙ্গলবার (৬নভেম্বর)নির্বাচন কমিশনের ইটিআই ভবনে তিনি একথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, ভোটারদের ভোটের স্বাস্থ্য সুরক্ষিত রাখার জন্য ইভিএম এর বিকল্প নেই। ব্যালট পেপারে নানা অসুবিধা রয়েছে। সেগুলো এড়িয়ে চলার জন্য ইভিএম চালু করা হবে।

সিইসি বলেন, ইভিএম নিয়ে আগে আইনি জটিলতা ছিল। সেগুলো এখন কাটিয়ে উঠেছি। রাষ্ট্রপতি আমাদের অধ্যাদেশ জারি করেছেন। নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাৎ হোসেনকে প্রধান করে ইভিএম কমিটি করা হয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে শহর অঞ্চলে ইভিএম ব্যবহার করা হবে।

কে এম নুরুল হুদা বলেন, ‘সব রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে এবং সংবিধানের আলোকে নির্বাচন করতে হবে। সেক্ষেত্রে জানুয়ারি মাসে বিভিন্ন প্রোগ্রাম রয়েছে। যেমন- বিশ্ব ইজতেমা রয়েছে জানুয়ারিতে। তখন সেখানে সারা দেশ থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজনকে নিয়োগ করতে হয়। তাই এর মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব হবে না।’

সংসদ নির্বাচনে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের বিষয়ে তিনি বলেন, এবার স্বল্প পরিসরে ইভিএম ব্যবহার করা হবে।

এছাড়া তিনি পোলিং অফিসারদের উদ্দেশে বলেন, রাজনৈতিক নেতারা ইভিএম নিয়ে নানা কথা বলতে পারে। কিন্তু তাদের সঙ্গে কোনো প্রকার উত্তেজিত না হয়ে ইভিএম নিয়ে তাদের বুঝাতে হবে।