১৪ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ || ২৮শে মে, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

 

শেখ হাসিনা বলেছেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রচারণায় বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন বন্ধ করে দেয়। অনেকের ধারণা ছিল বিশ্বব্যাংকের টাকা ছাড়া পদ্মা সেতু হবে না। আমি ঘোষণা দিয়েছিলাম নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু হবে। নিজস্ব অর্থায়নে আজ পদ্মা সেতুর ৬০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। এটা সন্তোষজনক।

রবিবার মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর মাওয়া টোলপ্লাজা সংলগ্ন গোলচত্বরে সুধী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, পদ্মা সেতু প্রকল্প বন্ধ করে দিতে দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হয়। তদন্ত শেষে প্রমাণিত হয়েছে পদ্মা সেতুকে কোনো দুর্নীতি হয়নি। সব অভিযোগ মিথ্যা। পদ্মা সেতুর আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ হয়েছে আমাদের দেশের কিছু মানুষ। তাদের কারণে পদ্মা সেতুর কাজ শুরু করতে বিলম্ব হয়েছে। পদ্মা সেতুতে জমি দেয়ার জন্য আমি এ এলাকার মানুষকে অভিনন্দন জানাই।

তিনি বলেন, ‘কোনো অনুমোদন ছাড়াই ড. ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি ছিলেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন আমাকে ফোন করে ড. ইউনূসকে গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি পদে রাখার জন্য আমাকে অনুরোধ করেছিলেন। আমি বলেছিলাম আইনে যা আছে তাই হবে। আইনী বাধ্যবাধকতা ড. ইউনূসকে গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি পদ থেকে সরে যেতে হয়। এখানে সরকারের কোনো হাত ছিল না।’

এর আগে রবিবার সকালে পদ্মা সেতু প্রকল্পের কর্মযজ্ঞ সরেজমিন পরিদর্শনে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া যান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। সকাল সাড়ে ১০টায় হেলিকপ্টার যোগে তেজগাঁও বিমানবন্দর থেকে মাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে পৌঁছে তিনি মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর নামফলক উন্মোচন করেন। মাওয়া প্রান্তে ৮ লেন মহাসড়কের ঢাকা-মাওয়া এবং পাঁচ্চর-ভাঙ্গা অংশের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী। এ ছাড়া পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্পের নির্মাণ কাজ, মূল নদীশাসন সংলগ্ন স্থায়ী নদীতীর প্রতিরক্ষামূলক কাজের উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা।