মোহাম্মদ ইউসুফ *
এবারের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে ৮লাখ ৫৮হাজার শিক্ষার্থী। পরীক্ষাপাশের আনন্দের পর যোগ হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি নিয়ে নানা ভোগান্তি, অনিশ্চয়তা ও উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার আশংকা। ভর্তিপরীক্ষা নামক যুদ্ধে অংশ নিতে শিক্ষার্থীদের দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অবস্থিত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছুটে বেড়াতে হবে। অভিভাবকদের পোহাতে হবে নানা ভোগান্তি, ব্যয় করতে হবে অতিরিক্ত অর্থ। গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তিপরীক্ষা নেয়ার জন্যে কমিটি গঠন করা হলেও এবছরও তা হচ্ছে না। শিক্ষামন্ত্রণালয় চাইলে পরীক্ষার্থীরা নিজ এলাকায় ভর্তিপরীক্ষা দিতে পারতো। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এ ব্যাপারে কোনো মাথাব্যথা আছে বলে মনে হয় না।
এদিকে নানাকারণে অধিকাংশ শিক্ষার্থীর পছন্দ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। দেশে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ৪০টি। এতে আসনসংখ্যা ৫০হাজার।এর বিপরীতে ভর্তিযুদ্ধে অংশ নেবে কয়েকলাখ শিক্ষার্থী। দেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে ১০৩টি। এর মধ্যে ৯১টিতে শিক্ষাকার্যক্রম চলছে। শিক্ষার্থীদের এতে মাত্রাতিরিক্ত টিউশিনফি গুণতে হয়।হাতেগোনা কয়েকটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় আছে ভালো মানের। তবে শিক্ষার্থীরা কাঙ্ক্ষিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ না পেলেও উচ্চশিক্ষা থেকে বঞ্চিত হতে হবে না। দেশের ৪০টি পাবলিক ও ১০৩টি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট আসনসংখ্যা প্রায় ৬লাখ ৫০হাজার। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত দেশের ৫১৬টি কলেজে অনার্স-মাস্টার্স পড়ানো হয়। অনার্সে ভর্তিযোগ্য আসন রয়েছে ৪লাখেরও বেশি। সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে আসন রয়েছে প্রায় সাড়ে ৩হাজার।