১০লাখ পিস ইয়াবা বিক্রির সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার ড. এ কে এম ইকবাল হোসেনসহ চার পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কেন দ্রুত বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এই ১০ লাখ পিস ইয়াবা বেচা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, রুলে তা-ও জানতে চেয়েছেন আদালত।
এক রিট আবেদনের শুনানিতে সোমবার (৬ আগস্ট) বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
পুলিশ সুপার ড. এ কে এম ইকবাল হোসেন ছাড়া বাকি তিন পুলিশ কর্মকর্তা হলেন কক্সবাজারের তৎকালীন গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) ওসি মনিরুল ইসলাম (বর্তমানে কক্সবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ), কক্সবাজারের গোয়েন্দা বিভাগের উপ পরিদর্শক কামাল হোসেন (বর্তমানে পিআইবির উপ-পরিদর্শক) ও টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)।
চার সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালক ও চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজিকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ফরহাদ উদ্দিন আহমেদ ভূঁইয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একরামুল হক টুটুল।
গত ২২ জুলাই একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত ‘১০ লাখ ইয়াবা বড়ি বেচে দিয়েও বহাল ১২ পুলিশ’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশি হয়। সেই সংবাদ সংযুক্ত করে গত ২৯ জুলাই হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ। ওই রিটের শুনানি নিয়ে রুল জারি করলেন আদালত।