১৪ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ || ২৮শে মে, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

আকামীকাল একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এরই মধ্যে সব প্রস্তুতি শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন। সকাল থেকেই দেশের সকল ভোটকেন্দ্রে যাচ্ছে ব্যালট পেপারসহ নানা সামগ্রী। দেশের অন্য এলাকাতেও সন্ধ্যার মধ্যেই সামগ্রী পৌঁছাবে বলে জানিয়েছে ইসি। ভোট নির্বিঘ্ন করতে সারা দেশে ভোটে নিরাপত্তায় থাকছে আইনশৃংখলা বাহিনীর ছয় লাখের বেশি সদস্য।

আট নভেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা। তবে রাজনৈতিক দলগুলোর দাবি আর সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে ৪ দিনের মাথায় ভোটের তারিখ পিছিয়ে ৩০ ডিসেম্বর করা হয়।

এবারের নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে ৩৯টি রাজনৈতিক দল। ২৯৯ আসনে লড়ছেন এক হাজার আটশো ৬১ প্রার্থী। যার মধ্যে ১২৮ জন স্বতন্ত্র।

এবার ১০ কোটি ৪২ লাখ ৩৮ হাজার ৬৭৭ ভোটারের মধ্যে নারী ৫ কোটি ১৬ লাখের বেশি। আর পুরুষ ভোটার ৫ কোটি ২৫ লাখ। কেন্দ্রের সংখ্যা ৪০ হাজার ১৮৩টি।

সংসদ নির্বাচনে এবারই প্রথম ৬টি আসনে ২১ লাখের বেশি ভোটার ইভিএমের মাধ্যমে ভোট দেবেন।

ভোটের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে সেনা, নৌ, বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশ, কোস্টগার্ডসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৬ লাখ আট হাজার সদস্য। এছাড়া, অন্তত দু্‌’হাজার নির্বাহী ও বিচারিক হাকিম  থাকবেন মাঠে।

প্রত্যন্ত এলাকা এবং শেষ সময়ে যারা প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন সেসব আসনে হেলিকপ্টারে ব্যালট পেপার পাঠানোর ব্যবস্থা করেছে নির্বাচন কমিশন।

এ নির্বাচনে দেশি ৮১টি পর্যবেক্ষক সংস্থার ২৫ হাজার ৯০০ এবং ওআইসি ও কমনওয়েলথ হতে আমন্ত্রিত ও অন্যান্য বিদেশি পর্যবেক্ষক ৩৮ জন, কূটনৈতিক/বিদেশি মিশনের কর্মকর্তা ৬৪ জন এবং বাংলাদেশস্থ দূতাবাস/হাইকমিশন বা বিদেশি সংস্থায় কর্মরত বাংলাদেশি ৬১ জন নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন।

নির্বাচন উপলক্ষে শনিবার মধ্যরাত (রাত ১২টা) থেকে ভোটের দিন দিবাগত মধ্যরাত (রাত ১২টা) পর্যন্ত বেবি টেক্সি/অটোরিকশা/ইজিবাইক, ট্যাক্সি ক্যাব, মাইক্রোবাস, জিপ, পিক-আপ, কার, বাস, ট্রাক, টেম্পোসহ স্থানীয় যন্ত্রচালিত যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। একই নিষেধাজ্ঞা রয়েছে নৌযান চলচলের ওপর।

এ ছাড়া ভোটকে সামনে রেখে শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাত (রাত ১২টা) থেকে ১ জানুয়ারি দিবাগত মধ্যরাত (রাত ১২টা) পর্যন্ত মোট চার দিন সারাদেশে মোটরসাইকেল চালানোয় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবে ইসির স্টিকার লাগানো মোটরসাইকেল এই নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবে।

যান চলাচলের নিষেধাজ্ঞার সময় রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুমতি সাপেক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও তাদের নির্বাচনী এজেন্ট, দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষকদের (পরিচয়পত্র থাকতে হবে) ক্ষেত্রে শিথিলযোগ্য। তাছাড়া নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত সাংবাদিক (পরিচয়পত্র থাকতে হবে), নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, নির্বাচনের বৈধ পরিদর্শক ও কতিপয় জরুরি কাজ যেমন- অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ডাক, টেলিযোগাযোগ ইত্যাদির কাজে নিয়োজিত যানবাহনে নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না।

এ ছাড়া মহাসড়ক, বন্দর ও জরুরি প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিষেধাজ্ঞা শিথিলের বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন বলে নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে।